• E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৬ অপরাহ্ন

×

সংবাদ সম্মেলনে-পাইকগাছা উপজেলা নির্বাচনে ৫ কেন্দ্রের কারচুপি ভোট কাস্টিং বিভ্রান্তি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের ব্যাখা  

  • প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪
  • ২৬ পড়েছেন
স্নেহেন্দু বিকাশঃ
পাইকগাছায় গত ৯ জুন অনুষ্ঠেয়  উপজেলা নির্বাচনে ৫ কেন্দ্রের ফলাফল প্রত্যাখান করে মোটরসাইকেল প্রতিকের সংবাদ সম্মেলনে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে উৎসুক জনতার কাছে আলোচনার খোরাক হয়ে দাড়িয়েছে। নির্বাচন পরবর্তীতে  বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকসহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
সোমাবার চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু’র নির্বাচনী কার্যালয়ে মোটরসাইকেল প্রতিকের কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতিতে এ সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রধান এজেন্ট জি,এম আব্দুল খালেক লিখিত বক্তব্যে নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী আনন্দ মোহন বিশ্বাস( চিংড়ি প্রতিকের) বাড়ি সংলগ্ন কপিলমুনির কাশিমনগরসহ ৫ ভোট কেন্দ্রে অনিয়ম ও ভোট করচুপির অভিযোগ করেন। তিনি আরোও বলেন, নির্বাচনের রেজাল্টশিট তাদের এজেন্টদের কাছে দেয়া হয়নি।
এ সময় শেখ কামরুল হাসান জানান,আমি পুরোপুরি নিশ্চিত প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ৫ কেন্দ্রে করচুপি হয়েছে। এ সময় এ’কটি কেন্দ্রের ভোটের ফলাফলের শতকরা হার নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।
পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইনে ফলাও করে প্রচার হয় কপিলমুনি বিদ্যামন্দির, মানিকতলা-কাশিমনগর কে,আর, আর সরঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কে,আর,আর মাধ্যঃ বিদ্যালয কেন্দ্রসহ ৫ টি ভোট কেন্দ্রে চিংড়ি প্রতিকে ৮০-৮৪% এর উপরে ভোট কাস্টিং এর কথা বলা হয়েছে। যা খুবই অস্বাভাবিক। এ খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়। বিভ্রান্তি পড়ে মানুষ।কিন্তু প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে সংবাদকর্মীরা বসে থাকেনি। সাংবাদিকরা এসব কেন্দ্রের প্রকৃত ভোটের ফলাফলের তথ্য সংগ্রহ করে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করতে সমর্থ হয়েছেন।৫ টি ভোট কেন্দ্রের ভোটের চিত্র ও কাস্টিং তুলে ধরা হল।
 কপিলমুনির কাশিমনগর কে, আর, আর কেন্দ্রের মোট ভোটার ৬১৩৮ ও নির্বাচনে ভোট পড়েছে ২২২২ টি। যা শতকরা হার ৩৬.২০%। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগও বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ৮৪% এর কথা বলা হয়েছে। কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির কেন্দ্রে মোট ভোটার ৫০৭৫ জন ও প্রয়োগ হয়েছে ২৪১২টি, যা ৪৭.৫২ %। কিন্তু বলা হয়েছে ৮০% ভোট পড়েছে। হাউলি প্রতাপকাঠি কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩৭০৫ টি কিন্তু এ কেন্দ্রে ভোট প্রয়োগ হয়েছে ১৩৮০টি।  যা শতকরা ৩৭.২০%। রেজাকপুর কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৩৪৯টি, ভোট প্রয়োগ হয়েছে ১১১৮টি। যা শতকরা ৪৭.৫৯ %।  নাবা ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৭১১টি ও ভোট প্রয়োগ হয়েছে ১২৯৫ টি। যা শতকরা হার ৪৭.৭৬%।  এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ ওবায়দুর রহমান বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুবই তৎপর ছিল। ভোটে কোথাও কারচুপি হয়েছে  বা অস্বাভাবিক কাস্টিং এর অভিযোগ গুজব মাত্র। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটারিং অফিসার মাহেরা নাজনীন,সুষ্ঠু ভাবে সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ও ভোট কাস্টিং নিয়ে কাউকে  কোন গুজবে কান না দিতে অনুরোধ করেছেন।তিনি আরোও বলেন, দু’একটি বিছিন্ন ঘটনা ছাড়াই  কোথাও কোন অনিয়ম হয়নি এমনকি প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রের  ফলাফল ঘোষনার পর প্রত্যেক প্রার্থীর এজেন্টরা  প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছ থেকে রেজাল্টশিট বুঝে নিয়েছেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA